সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি?
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি?

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি?

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি?

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি? – সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ও লেখিকা হান কাং (Han Kang)। এই কথাশিল্পী তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ (The Vegetarian) এর জন্য ২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ।

হান কাং-এর লেখা বইয়ে মানুষের জীবনের দুঃখ-কষ্টের কাব্যিক রূপায়ন ফুটে উঠেছে। যা স্বীকৃতি স্বরূপ দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা তে নিজগুনে স্থান করে নিয়েছেন। হান কাং শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম সাহিত্যে নোবেল জয়ী নারী নন ;তিনি এশিয়া মহাদেশেরও প্রথম সাহিত্যে নোবেল জয়ী নারী যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা তে স্থান করে নিয়েছেন ।

১০ অক্টোবর ২০২৪ সুইডেনের স্টকহোম থেকে সাহিত্যে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি। 

হান কাং কে সাহিত্যে নোবেল দেওয়া হয় কেন ?

আমরা ইতোমধ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি? জানতে পেরেছি।আসুন এখন জেনেনি তাকে কেন এই নোবেল দেওয়া হয়েছে-

দ্য ভেজিটেরিয়ান (The Vegetarian) বা নিরামিষাশী উপন্যাসটিতে মানুষের জীবনের দুঃখ-কষ্টের কাব্যিক রূপায়নের স্বীকৃতি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ সালে তাকে প্রদান করা হয়।

হান কাং প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ান হিসেবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন।হান কাং এশিয়ার প্রথম নারী লেখিকা হিসেবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন।১৯০১ সাল থেকে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। হান কাং বিশ্বের ১৮তম নারী হিসেবে সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।

হান কাং-এর লেখা বই ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ উপন্যাসের জন্য ২০১৫ সালে আলোচনায় আসেন।হান কাং-এর লেখা বই ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ উপন্যাসের জন্য ২০১৬ সালে ম্যান বুকার পুরস্কারে ভূষিত হন।

হান কাং-এর লেখা বইয়ে মানবজীবনের দুঃখ-কষ্টের নানা দিক ও ইতিহাসের সঙ্গে এর সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে।হান কাং-এর লেখা বইয়ে মানুষের মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণা উঠে এসেছে বার বার। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে, তা খুঁজেছেন বার বার। তার পর ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে মানুষের জীবন ও অনুভূতিগুলোকে খুব তীক্ষ্ণ ও কাব্যিকভাবে বর্ণনা করেছেন।লেখালেখির পাশাপাশি হান কাং শিল্প ও সঙ্গীতের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

২০১৪ সালে হান কাং-এর লেখা বই ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’ ঐতিহাসিক ঘটনার উপর নির্ভর করে লেখা। ১৯৮০ সালে গুয়াংজুতে বিক্ষোভ গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন যা ছাত্র ও বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পড়ুয়ারাও। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হিংসা, প্রতিরোধ উঠে এসেছে হান কাং-এর লেখা ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’ বইয়ে।

২০২৩ সালে রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচার ইন্টারন্যাশনাল রাইটার নির্বাচিত হন হান কাং। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস – এর “২১ শতকের ১০০ সেরা বই” -এ দ্য ভেজিটেরিয়ান ৪৯তম স্থান অর্জন করেন।

দ্য ভেজিটেরিয়ান (The Vegetarian) বা নিরামিষাশী উপন্যাস

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি? – ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কারের তালিকায় হান কাং এর ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ উপন্যাসটি স্থান করে নিয়েছে।

  • হান কাং এর দ্য ভেজিটেরিয়ান (The Vegetarian) বা নিরামিষাশী উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনূদিত প্রথম উপন্যাস।
  • হান কাং ২০১৬ সালে দ্য ভেজিটেরিয়ান উপন্যাসটির লেখক হিসেবে ‘ম্যান বুকার’ পুরস্কার অর্জন করেন।
  • হান কাং তার বিখ্যাত এই সাহিত্যের জন্য ২০২৪ সালে নোবেল পুরুস্কার অর্জন করেন।
দ্য ভেজিটেরিয়ান (The Vegetarian) বা নিরামিষাশী

হান কাং এর জীবন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকার জেনে নেই

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি? – শুধু এটুকু জানলেই কি হবে? এই উপন্যাসটির যিনি সৃষ্টি করেছেন তার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে জেনেনি-

হান কাং (১৯৭০) প্রথম দক্ষিণ কোরীয় লেখিকা হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন। হান কাং উপন্যাস ও ছোটগল্পকার হিসেবে জনপ্রিয়। ২০১৫ সালে তার লেখা উপন্যাস “দ্য ভেজিটেরিয়ান” (The Vegetarian) ইংরেজিতে অনুবাদ করেন ডেবোরাহ স্মিথ। পরের বছরই উপন্যাসটির লেখক হিসেবে ‘ম্যান বুকার’ পুরস্কার অর্জন করেন। “দ্য ভেজিটেরিয়ান” (The Vegetarian) হান কাং-এর ইংরেজিতে অনুবাদ করা প্রথম উপন্যাস।

কথাশিল্পী ৫৩ বছর বয়সী হান কাং-এর লেখিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি দক্ষিণ কোরীয় সাময়িকীতে পাঁচটি কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ১৯৯৫ সালে হান কাং-এর লেখা ছোট গল্পের সংকলন প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘ গদ্য লেখা শুরু করেন।

হান কাং-এর পরিবার ও শিক্ষা জীবন কেমন ছিল?

হান কাং ১৯৭০ সালের ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেন।হান কাং-এর পরিবার সাহিত্যিক পটভূমির জন্য বিখ্যাত। তার বাবা ঔপন্যাসিক হ্যান সিউং-ওন । হান কাং-এর বড় ভাই হান ডং-রিমও একজন ঔপন্যাসিক, তার ছোট ভাই হান কাং-ইন একজন ঔপন্যাসিক এবং কার্টুনিস্ট।

গোয়াংজু বিদ্রোহের চার মাস আগে হান কাং-এর বাবা পূর্ণ-সময়ের লেখক হওয়ার জন্য তার শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দেন। হান কাং তার পরিবারের সাথে সিউলের সুয়ুরিতে চলে আসেন। হান কাং দশ বছর বয়স থেকে তার পরিবারের সাথে সিউলের সুয়ুরিতে বেড়ে ওঠেন।

গোয়াংজু বিদ্রোহ একটি গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন যা ছাত্র ও বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক হত্যাকাণ্ডে শেষ হয়েছিল।হান কাং ১২ বছর বয়সে প্রথম গণহত্যা সম্পর্কে জানতে পারেন। বাড়িতে একটি জার্মান সাংবাদিকের তোলা ফটোগ্রাফের একটি গোপনে প্রচারিত স্মারক অ্যালবাম হান কাং আবিষ্কার করেন।হান কাং-এর এই আবিষ্কারটি মানবতা এবং সাহিত্যকর্মের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।

হান কাং ১৯৯৩ সালে হান ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরিয়ান সাহিত্য অধ্যয়ন করেন। যেখানে তিনি কোরিয়ান ভাষা ও সাহিত্যে মেজর হন।হান কাং ১৯৯৮ সালে ইউনিভার্সিটি অফ আইওয়া ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রামে নথিভুক্ত হন ।

হান কাং-এর বাবা তার লেখালেখির কর্মজীবন শেষ করার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন, যা তার পরিবারকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছিল। পরবর্তীতে  হান কাং তার শৈশবকে ‘একটি ছোট শিশুর জন্য খুব বেশি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন জীবন কেমন ছিল?

হান কিউং হি সাইবার ইউনিভার্সিটির সাহিত্য সমালোচক এবং অধ্যাপক হং ইয়ং-হিকে বিয়ে করেন।হান কাং  ২০২৪ সালে জানিয়েছেন যে, তাদের অনেক আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে কিন্তু কবে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। এই দম্পতির একটি ছেলের রয়েছে যার সাথে তিনি ২০১৮ সাল থেকে সিউলে একটি বইয়ের দোকান চালাচ্ছেন। 

হান কাং কিভাবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন?

হান কাং ইয়নসেই ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হওয়ার পর সংক্ষিপ্তভাবে মাসিক সেমেটিও ম্যাগাজিনের রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন । হান কাং-এর সাহিত্যিক কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালে মুনহাক-গওয়া-সাহো (সাহিত্য ও সমাজ) এর শীতকালীন সংখ্যায় “সিউলে শীত” সহ পাঁচটি কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে।তার মধ্যে  ‘উইন্টার ইন সোল’ কবিতাটিও ছিল। কবিতা দিয়েই সাহিত্যে তার হাতেখড়ি। 

১৯৯৪ সালে ঔপন্যাসিক হিসাবে হাতেখড়ি হয়।১৯৯৪ সালে হান কাং-এর লেখা বই  সিউল শিনমুন বসন্তকালীন সাহিত্য  প্রতিযোগিতায়  “রেড অ্যাঙ্কর” সহ জয়ী হন।১৯৯৫ সালে হান কাং-হিউন নামে তার কথাসাহিত্যের আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৯৫ সালে তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়।তার প্রথম ছোট গল্পের সংকলন, ‘আ লাভ অফ ইয়েসু’ সুনির্দিষ্ট এবং কঠিনভাবে লেখনির জন্য সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।

কোরিয়ার আর্টস কাউন্সিলের সহায়তায় হান কাং ১৯৯৮ সালে আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। হান কাং সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করার জন্য পত্রিকার চাকরি ছেড়ে দেন।

হান কাং একজন কথাশিল্পীর পাশাপাশি একজন সঙ্গীত শিল্পীও।২০০৭ সালে হান কাং ‘A Song to Sing Calmly’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন; যার সাথে একটি মিউজিক অ্যালবাম ছিল। হান কাং প্রথমে গাইতে আপত্তি জানালেও পরবর্তীতে নিজেই গানগুলো রেকর্ড করেন। কারণ হান জং রিম, একজন সঙ্গীতজ্ঞ এবং সঙ্গীত পরিচালক, জোর দিয়েছিলেন যে হান কাং নিজেই গানগুলি রেকর্ড করবেন। 

২০০৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সিউল ইনস্টিটিউট অফ আর্টসে সৃজনশীল লেখা বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে কাজ শুরু করেন।

লেখিকার নেতিবাচক চিন্তা

দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ও লেখিকা হান কাং লেখায় ইতিবাচক চিন্তা চেতনা ফুটে উঠেছে।যেমন-

  • লেখিকা সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্টের দিকগুলোকে সুন্দরভাবে তার সাহিত্যে তুলে ধরেছেন।
  • হান কাং ১২ বছর বয়সে প্রথম গণহত্যা সম্পর্কে জানতে পারেন। বাড়িতে একটি জার্মান সাংবাদিকের তোলা ফটোগ্রাফের একটি গোপনে প্রচারিত স্মারক অ্যালবাম সে আবিষ্কার করেন।তার এই আবিষ্কারটি মানবতা এবং সাহিত্যকর্মের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি? – আর্টিকেলটির ভিতর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর দেওয়া হয়েছে-

❓ সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর (FAQ)

প্রশ্ন: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি?

উত্তর: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ পেয়েছেন হান কাংও উপন্যাসটির নাম ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ (The Vegetarian) ।

প্রশ্ন: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ কে পেয়েছিলেন ?

উত্তর: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ও লেখিকা হান কাং (Han Kang)।

প্রশ্ন : হান কাং এর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা কত তারিখ দেওয়া হয়েছিল?

উত্তর : রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি কর্তৃক ১০ অক্টোবর ২০২৪ সুইডেনের স্টকহোম থেকে সাহিত্যে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করে। 

প্রশ্ন : হান কাং কে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় কেন ?

উত্তর : হান কাং-এর লেখা বইয়ে মানুষের জীবনের দুঃখ-কষ্টের কাব্যিক রূপায়ন ফুটে উঠেছে। যা স্বীকৃতি স্বরূপ দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

প্রশ্ন : এশিয়ার সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী প্রথম নারী কে ?

উত্তর : এশিয়ার সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী প্রথম নারী হান কাং।

প্রশ্ন : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী নারী কে ?

উত্তর : হান কাং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী নারী। 

প্রশ্ন : হান কাং-এর ইংরেজিতে অনুবাদ করা প্রথম উপন্যাস কোনটি ?

উত্তর : হান কাং-এর ইংরেজিতে অনুবাদ করা প্রথম উপন্যাস “দ্য ভেজিটেরিয়ান” (The Vegetarian)।

প্রশ্ন : হান কাং-এর জন্ম কত সালে ?

উত্তর : হান কাং ১৯৭০ সালের ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন : হান কাং কোন বইয়ের জন্য নোবেল পান?

উত্তর : হান কাং দ্য ভেজিটেরিয়ান’ (The Vegetarian) বা নিরামিষাশী (উপন্যাস) বইয়ের জন্য নোবেল পান।

প্রশ্ন : ২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া উপন্যাসটির নাম কি?

উত্তর : ২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া উপন্যাসটির নাম দ্য ভেজিটেরিয়ান ।

প্রশ্ন : The White Book গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তর : The White Book গ্রন্থের লেখক হান কাং।

প্রশ্ন : হান কাং কোন বইয়ের জন্য নোবেল পান?

উত্তর : হান কাং দ্য ভেজিটেরিয়ান বইয়ের জন্য নোবেল পান।

প্রশ্ন : হান কাং কোন দেশের নাগরিক?

উত্তর : হান কাং দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক।

প্রশ্ন : সাহিত্যে নোবেল জয়ী প্রথম এশিয়া নারী কে ছিলেন?

উত্তর : সাহিত্যে নোবেল জয়ী প্রথম এশিয়া নারী হান কাং।

প্রশ্ন : হান কাং বিশ্বে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কততম নারী?

উত্তর : হান কাং বিশ্বে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ১৮তম নারী।

মতামত

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী হান কাং একাধারে উপন্যাস, কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেন। এছাড়াও তার লেখা কিছু বই ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়। যা অনুবাদিত সাহিত্যে স্থান লাভ করে। ২০২৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ান নারী লেখিকা হান কাং (Han Kang) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।তিনি মূলত তার লেখায় মানুষের জনজীবনের দুঃখ-কষ্টকে কাব্যিক রূপ দিয়ে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তার এই অসাধারণ শৈল্পিক গুনকে স্বীকৃতি দিতেই তাকে ২০২৪ সালে তাকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে তার শিল্প সত্তাকে অলংকৃত করা হয়েছে।

উপসংহার 

প্রিয় পাঠক আর্টিকেল থেকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা ও উপন্যাসটির নাম কি? – সে সম্পর্কে জেনেছেন। সুইডিশ একাডেমি ২০২৪ সালে হান কাং-এর লেখা বইয়ে “তীব্র কাব্যিক গদ্য যা ঐতিহাসিক আঘাতের মুখোমুখি এবং মানব জীবনের ভঙ্গুরতা প্রকাশ করে” তার এই কাব্যিক রূপায়ণের স্বীকৃতি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে। 

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার :2025 সালে কে পেয়েছেন?

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *